December 22, 2024, 11:17 am
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
অবিভক্ত ভারতের বস্ত্র শিল্পের ইতিহাসে মোহিনী মিল অনন্য অবদান রেখেছিল। কালের বির্বতনে ভ‚-রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রে এটি আজ ধ্বংসপ্রাপ্ত হলেও একে নিয়ে নতুন চিন্তা করার সময় এসেছে। এর শত একর জায়গায় নতুন করে বড় কোন উদ্যোগ নিলে এটিও ফলপ্রসু হবে।
মোহিনী মিলের শেষ স্বত্বাধিকারী দেবী প্রসাদ চক্রবর্তী কানুবাবুর ৫৬তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত স্মরণ সভায় ও গুণীজন সম্বর্ধনায় বক্তারা একথা বলেন। রবিবার রাতে মোহিনী মিল অডিটোরিয়াম সংলগ্ন মাঠে এ স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। দেবী প্রসাদ চক্রবর্তী কানু বাবু স্মৃতি পরিষদ এ আলোচনা সভার
মোহিনী মোহন চক্রবর্তী এই মিল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বৃটিশ শাসনামালে উপমহাদেশের ইতিহাসে যে ক’টি বস্ত্র শিল্পের নাম পাওয়া যায় মোহিনী মিল ছিল তার অন্যতম। অন্যদিকে পূর্ববাংলায় এই মিলের ¯’ানটি ছিল অনন্য উচ্চতায় কারন এ বঙ্গের পুরো ভূ-ভাগ জুড়ে এই একটি মাত্র প্রতিষ্ঠানই সে সময় গড়ে উঠেছিল। মোহিনী মোহনের মৃত্যুর পর তার পৌত্র দেবী প্রসাদ এই মিলের দায়িত্বে আসেন।
দেবী প্রসাদ চক্রবর্তী কানু বাবু স্মৃতি পরিষদের সভাপতি নিলয় কুমার সরকারের সভাপাতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা। প্রধান আলোচক ছিলেন গবেষক ও বোধদয়ের সভাপতি এডভোকেট লালিম হক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিথ ছিলেন বঙ্গবন্ধু পরিষদ কুষ্টিয়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শামসুর রহমসান বাবু, বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক, সম্মিলিত সামাজিক জোটের চেয়ারম্যান ড. আমানুর আমান, ব্যারিস্টার গৌরব চাকী ও ড. মোফাজ্জল হক ও মোহিনী মিলের সাবেক কর্মচারী মোহাম্মদ আলী।
বক্তারা বলেন শুধু অর্থনৈতিক বিচারেই নয় এই মিলটি পুরো বাংলা ভূ-খন্ডের মার্যাদাকেই বৃদ্ধি করেছিল। এই মর্যাদা অখন্ড ও আরো শক্তিশালী হয়ে দেখা দিয়েছিল যখন এই মিলেরই উৎপাদিত সূতা দিয়ে তৈরি ধ্যুতি, শাড়ি, মার্কিন ও শালু কাপড়ের সুখ্যাতি ছড়িয়ে যায় ভারত জুড়ে।
বক্তারা বলেন কানুবাবুর হাত ধরে এই মিলের উত্তরোত্তর সফলতা এসেছিল।
তারা কানুবাবুর নানা জনহিতকর কাজের উল্লেখ করে বলেন কানু বাবু ছিলেন দারুণভাবে একজন কর্মী-বান্ধব শিল্প উদ্যোক্তা। মিলের কর্মীদের জন্য তিনি বছরে ৬টি বোনাস প্রদান করতেন। যা ছিল নজীরবিহীন। যা ঐ সময়ে শিল্প-বিপ্লবের আঁতুরঘর স্বয়ং ইউরোপেও ঘটেনি।
বক্তারা মিলের বর্তমান অবস্থায় অসহায়ত্ব বোধ করার কথা ভাবার পরিবর্তে নতুন কিছু ভাবনার কথা চিন্তা করতে আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি কানু বাবুর বাড়িটি পুলিশ ফাঁড়ি থেকে উদ্ধার করে সেখানে কানুবাবুর াকেটি ভাস্কর্য স্থাপনের বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনায় আনার কথা জানান।
অনুষ্ঠান উপস্থাডনা করেন বৃহত্তর কুষ্টিয়ার ইতিহাস, ঐতিহ্য সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি এসএস রুশদী ও বাপ্পী।
Leave a Reply